img

করোনা ভাইরাস : এ গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি

করোনা ভাইরাস এখন আমাদের জন্য বেশ মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে। এর কারণ মূলত এটি একটা সংক্রামক রোগ। অর্থাৎ ভাইরাসটি একজনের দেহ থেকে আর একজনের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ কারণে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে। এ নিয়ে ২ পর্বের ধারাবাহিক প্রকাশ করছে নগরবার্তা.কম।গতকাল প্রকাশিত হয়েছে প্রথম পর্ব আজ প্রকাশিত হলো দ্বিতীয় এবং শেষ পর্ব।লিখেছেন ডা. হাফিজুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক, ট্রান্সফিউশান মেডিসিন বিভাগ, এনাম মেডিকেল কলেজ।

ভাইরাস আক্রমনের লক্ষণঃ

সংক্রমণের সাধারণ লক্ষণ

  • জ্বর
  • কাশি
  • শ্বাসকষ্ট
  • শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা

সংক্রমণের মারাত্নক লক্ষণ

  • নিউমোনিয়া
  • সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (সার্স)
  • কিডনি ফেইল্যুর
  • মৃত্যু

চিকিৎসা

করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা

  • আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করে নিম্নবর্ণিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
  • বিশ্রাম নিতে হবে।
  • তরল খাবার ও পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে।
  • গলাব্যথা ও জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল ঔষধ সেবন করতে হবে। তবে কোনোভাবেই এসপিরিন জাতীয় ঔষধ দেওয়া যাবে না (বিশেষ করে শিশু ও কিশোর-কিশোরীকে)।
  • মারাত্নক উপসর্গের ক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসা দিতে হবে।

প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

প্রতিরোধে করণীয়

এখন পর্যন্ত 2019-nCov এর ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হয়নি। তাই নিম্নের ব্যবস্থা গ্রহণ করে করোনা ভাইরাসকে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

  • মাঝে মাঝে সাবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া।
  • হাত না ধুয়ে চোখ,নাক ও মুখ স্পর্শ না করা।
  • অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে না যাওয়া।
  • অসুস্থ হলে বাড়িতেই অবস্থান করা।
  • হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা।
  • মাংস, ডিম ও শাকসবজি রান্না করার সময় ভালোভাবে সিদ্ধ করা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা।
  • গণপরিবহণ ও হাটবাজারে মাস্ক ব্যবহর করা।
  • বন্য জন্তু কিংবা গৃহপালিত পশুকে খালি হাতে স্পর্শ না করা, করলেও হাত ধুয়ে ফেলা। 

ভ্রমণের ক্ষেত্রে যা করতে হবে

ভ্রমণের ক্ষেত্রে করনীয়

চীনে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণকে CDC পরিহার করার পরামর্শ দিয়েছে। চীন থেকে যেসব ভ্রমণকারী অন্যান্য দেশে যাচ্ছেন তাদের ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আক্রান্তদের স্বাস্থ্যবিষয়ক পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর যারা সুস্থ আছেন তাদেরকে কিছু স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শ দিয়ে ১৪ দিন অবজার্ভেশনে থাকতে বলা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে অসুস্থতা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।

বিশেষ সতর্কতা

Travel করার ইতিহাস থাকলে AABB,FDA,CDC ২৮ দিন পর্যন্ত Travel Deferral শর্তটি ব্লাড ব্যাংকগুলোকে মেনে চলতে পরামর্শ দিয়েছে।